লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের কৃষকেরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গাজর চাষ হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলার আবহাওয়া ও মাটি গাজর চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এছাড়া সবজি ও সালাদ হিসেবে সমাদৃত এ ফসল চাষে খরচ কম, লাভও হয় অনেক বেশি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেকটা রোগবালাইমুক্ত হওয়ায় গাজর চাষে সাফল্য পেয়েছেন লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের হাজারও কৃষক। চলতি মৌসুমে এসব এলাকায় প্রায় ১হাজার বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে গাজরের চাষ করা হয়েছে মর্মে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমানে হাট-বাজারে দাম ভালো আর চাহিদা বেশি থাকায়, অল্প পরিশ্রমের বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ ফসলটি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা।
জানা যায়, একবার চাষে করে কমপক্ষে ৩ দফা গাজর উৎপাদন করা যায়। এছাড়া গাজর গাছের ডাল-পালা গবাদি পশুর খাবার হিসেবেও বেশ চাহিদা রয়েছে। আর এর শিকড়গুলো জৈব সার হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
মোগলহাট ইউনিয়নের মধ্যে কাকেয়া টেপা, ভাটিবাড়ী, কোদালখাতা, ফুলগাছে গাজরের আবাদ বেশি হচ্ছে।
গাজর চাষিরা বলেন, এ এলাকা গাজর চাষে উপযোগী হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেক কৃষক। এক সময় অল্প কিছু জমিতে গাজর চাষ হতো। এখন অল্প সময়ে বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকদের গাজর চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এখন গাজর বিক্রি শুরু হয়েছে।
গাজরসহ শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা ঋণ সহায়তা আর পরামর্শ পেলে আরও বেশি উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন বলেন, গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যেগুলো ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করে। এমনকি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় গাজরের রস লাগালেও উপশম হয়। গাজরের চাষ বাড়াতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।